উই পোকার ঘারে উটপাখির ডানা !
ঘর ছেড়ে আজ বের হয়েছি, ফিরতে কি পারবো আজ?
মেয়ে আমার অপেক্ষাতে, পেতে চাই লজেন্সের স্বাদ
স্ত্রী আমার ছলছল চোখ, মায়ের চোখে বৃষ্টি জল
আগলে ধরে বলছে পশু, এবার আমাদের সাথে চল।
পেটের তাগিদে এ পেশা নয়, যোগ্যতারও কমতি নয়
নিজেকে বিলাবো জনসেবায় এটাই ছিল প্রত্যয়।
দোপায়া পশুদের অন্যায় চাওয়ায় পারি নি বিবেক হারাতে,
চাইনি নিজেকে বিকিয়ে দিতে, লাল-সবুজকে মারাতে।
জ্ঞান ফিরেছে, দেখছি আমি হাসপাতালের বেডে
চোখ বুজে আসে লাল রক্তে, ঝাপসা যেন দৃশ্যপট
ঘৃণায় যেন রাগ চরমে, হারিয়ে ফেলেছি চেতনা,
এসব ভেবে লাভ হবে না, বিচার হবে কি জানিনা
কদিন আগে অন্য পেশার ভাই মরেছে জেনেছি
একবছরে এমন অনেক লাঞ্চিত তা শুনেছি।
কেউবা মৃত, কেউবা আহত, কেউবা নিঃস্ব, বোবা
বাক হারানো না, বিবেককে আজ করেছে তারা ভোঁতা।
পত্রিকার পাতায় অমক ধর্ষণ, তমকের জোর দখল
অসহায়ের জমি কেড়ে নিয়ে আজ গড়েছে তাদের মহল।
উৎস কোথায় তাদের শক্তির, এত ক্ষমতা কোথায়?
কাদের দাপটে নেংটি ইদুর বাজপাখির ন্যায় দাপায়?
কত ঘটনা, অজানা কথা, যাবেনা বকে শেষ
সব ঘটনার পরিণতি কি এভাবে হবে নিঃশেষ?
জানা-অজানার পত্রিকার কোনা, দুই লাইনে ফেসবুক
হারিয়ে যাচ্ছে সব ঘটনা, যেন সব ধুয়ে শেষ।
হাসছে তারা পশুর ঢঙে, চিৎকারে যেন জানোয়ার
তাদের হাতে ক্ষমতা যাবে, নাকি ওই চেয়ার?
বিচারকে আজ অবজ্ঞা করে, হাসিমুখে পড়ে হাতকড়া
প্রিজন ভ্যানে যাওয়ার হাগে ভি দেখিয়ে বলে টা টা
এভাবে আর কতদিন বলো, আর চলবে কতো?
মানচিত্রে আগুন ধরেছে, এবার অন্তত পানি ঢালো।
দাও ভাসিয়ে জঞ্জাল সব, এখনি থামাও পশুদের
নতুবা সামনে মহা প্রলয়, মানবে না কোনো গোত্র বিশেষ।
বানরকে বহু আদর করেছ, দিয়ে দুধ কলা
আজ বানরে পটি করে মাথায়, মাঝে মাঝে দেয় কানমলা।
বানর থামাও এখনি ওগো, ছুড়ে ফেলো মাটিতে
ধুয়ে মুছে ফেলো অন্যায় সব, সাজাও নতুন নীতিতে।
উঁইপোকাদের পাখা গজিয়েছে, উড়ছে ফুরুত ফারুত
এভাবে চললে গিলে খাবে সব, নতুন স্বপ্ন বাঁচুক।
সুত্রঃ মানসিক রোগাক্রান্ত ভোলা দা'র ডায়েরি
১৩/১১/২০২০ খৃষ্টাব্দ, রাত ১.১১।