-->

ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত বারি গম ৩৩

 বাংলাদেশে যে সেকল দানাদার ফসল চাষ হয় তার মধ্যে গম অন্যতম। বলা যায় দানাদার ফসল হিসেবে ধানের পরে গমের অবস্থান। প্রতিনিয়ত খাবারের টেবিলে রুটির চাহিদা বৃদ্ধি ও  বহুবিধ ব্যবহার থাকার কারণে গমের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কৃষক গম আবাদের প্রতি আগ্রহী হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে গম আবাদের হার যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কৃষকদের চাহিদা ও রোগ প্রতিরোধ ও ফলন বিবেচনায় কৃষি বিজ্ঞানীদের বারি গম ৩৩ নামে এক নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। একদিকে কাঙ্খিত ফলন, অন্যদিকে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী হয় এই জাতটি কৃষকদের মাঝে বেশ সমাদৃত হয়েছে। বারি গম ৩৩ গমের প্রথম ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জিংক সমৃদ্ধ জাত। বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ গবেষণা শেষে ১১ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক সারা দেশে চাষাবাদের জন্য জাতটি অবমুক্ত করা হয়। ইতিমধ্যে মাঠে আবাদে জাতটি ব্লাস্টরোগ প্রতিরোধী তা প্রমাণিত হয়েছে। জাতটি জিংক সমৃদ্ধ এবং দানায় জিংকের মাত্রা ৫০-৫৫ পিপিএম।

 


বারি গম ৩৩ জাতের বৈশিষ্ট্য

১) জাতটির উচ্চতা মাঝারী, গড় উচ্চতা ১০০-১০৫ সেন্টিমিটার।

২) প্রতি গাছে কুশির সংখ্যা তিন থেকে পাঁচটি।

৩) বারি গম ৩৩ বপনের পর শীষ বের হতে ৬০-৬৫ দিন লাগে।

৪) বোনা থেকে পাকা পর্যন্ত ১১০-১১৫ দিন সময় লাগে।

৫) এই গজাতের গমের শীষ লম্বা এবং প্রতি শীষে দানার সংখ্যা ৪২-৪৭টি।

৬) জাতটি গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী।

৭) জাতটি পাতার দাগ রোগ সহনশীল এবং মরিচা রোগ প্রতিরোধী।

৮) জাতটি স্বল্প মেয়াদী এবং তাপ সহনশীল হওয়ায় দেরিতে বপনের জন্য খুবই উপযোগী।

৯) দানার রং সাদা, চকচকে ও আকারে মাঝারী

১০) এক হাজার দানার ওজন ৪৫-৫২ গ্রাম।

জীবনকালঃ ১০২-১০৮ দিন

ফলন: হেক্টর প্রতি ফলন ৪০০০-৫০০০ কেজি

সূত্রঃ বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট

 


No comments

Powered by Blogger.